বিশ্বে বছরে প্রায় দেড় কোটি শিশুর জন্ম হয় অপরিণত অবস্থায় (প্রিম্যাচিউর)। নির্ধারিত সময়ের আগেই এসব শিশুর জন্ম হওয়ায় আগাম প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয় না। ফলে কখনো কখনো মা ও শিশুর জীবন নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়। এ ক্ষেত্রে আশার সঞ্চার করেছে নতুন এক ধরনের রক্ত পরীক্ষার পদ্ধতি। স্বল্প ব্যয়ের এই পদ্ধতি অবলম্বন করে শিশুর জন্মের তথ্য জানা সম্ভব হবে। এমনকি ঝুঁকিতে থাকা গর্ভবতী নারী নির্ধারিত সময়ের কত আগে সন্তান প্রসব করতে চলেছেন, তাও জানা যাবে।
যুক্তরষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ডেনমার্কের কোপেনহেগেনের স্টাটেনস সেরাম ইনস্টিটিউটের একদল বিজ্ঞানী যৌথভাবে স্বল্প ব্যয়ের এ পদ্ধতিটি উদ্ভাবন করেছেন।
গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়েছে, এই পরীক্ষার মাধ্যমে সময়ের আগে প্রসবের তথ্য ৮০ শতাংশ পর্যন্ত সঠিকভাবে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব। এর মাধ্যমে মা ও ভ্রূণের জিনের কার্যক্রম, কোষমুক্ত আরএনএ পরিমাপ করা যাবে। এই রক্ত পরীক্ষা পদ্ধতি নবজাতক ও মাতৃমৃত্যুর হার এবং প্রসবকালীন জটিলতা অনেকাংশে কমিয়ে আনবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।